এদিন দুবাই স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৪ রানে থেমে যায় শাহরুখের কেকেআর। যা আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ইনিংসে অলআউট না হয়ে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগে এ রেকর্ডটি ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের। ২০১১ সালে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে পুরো ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৯৪ রান করেছিল মুম্বাই।
এছাড়া এই ম্যাচে আরও একটি লজ্জার রেকর্ড গড়েছে কলকাতা। ২০ ওভারের ১২০ বলের মধ্যে ৭২টি বল অর্থাৎ ১২ ওভারই ডট খেলেছে কলকাতা। এটি আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম রেকর্ডটিও কলকাতার দখলে। গত আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ৭৫টি ডট বল খেলেছিল কলকাতা।
কেকেআরের এসব লজ্জার রেকর্ড গড়ার কারিগর ব্যাঙ্গালুরুর পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। চার ওভারের স্পেলে ২ মেডেনের সাহায্যে মাত্র ৮ রান দিয়েছেন তিনি। নিয়েছেন ৩ উইকেট। ৮ রানে ৩ উইকেট নিলেও কলকাতাকে সিরাজ ধসিয়ে দিয়েছিলেন তার প্রথম দুই ওভারেই।
দুই ওভারে কোনো রান না দিয়ে ৩ উইকেট নেন ২৬ বছর বয়সী সিরাজ। দুই ওভারেই ৮ রান দেন। আইপিএল ইতিহাসে এবারই কোনো বোলার এক ম্যাচে দুটি মেডেনের কীর্তি দেখালেন। আরও দুটি মেডেন যোগ করেছেন ক্রিস মরিস ও ওয়াশিংটন সুন্দর। এতে আইপিএলের ইতিহাসে নতুন একটি রেকর্ড গড়ল ব্যাঙ্গালুরু।
আইপিএলের ১৩ বছরের ইতিহাসে এর আগে কোনো ইনিংসে চার মেইডেন হয়নি। সিরাজের দুই মেডেনের সঙ্গে মরিস ও ওয়াশিংটনের একটি করে যোগ হয়ে পুরো ইনিংসে মোট ৪টি মেইডেন ওভার করে ব্যাঙ্গালুরু। আইপিএলের ১৩ বছরের ইতিহাসে এর আগে কোনো ইনিংসে চার মেইডেন হয়নি। এর আগে সর্বোচ্চ দুটি মেডেনের দেখা মিলেছিল নির্দিষ্ট কোনো ইনিংসে।
বুধবারের ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাঙ্গালুরুর পেসার সিরাজের তোপে বিধ্বস্ত হয় কলকাতা। সিরাজসহ ব্যাঙ্গালুরুর বাকি সব বোলারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৮৫ রান টার্গেট ছুড়ে দেয় তারা। এত কম রানের টার্গেট ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩ ওভারেই পূরণ করে ব্যাঙ্গালুরু। ফল ৮ উইকেটে কলকাতাকে হারায় বিরাট কোহলির দল।